নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: বারদী ইউনিয়নের মৃত করিম সরকারের দাফন সর্ম্পন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত করিম সরকার বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মৃত ইছমত মিয়ার ছেলে।
মৃত করিম সরকারের ছেলে অভিযোগ করেন, গত ১৩ তারিখে নাজমুলের লোকজন বাদী বাজারে তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করে। সেই ঘটনার পর থেকে তার বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তার ৬ চাচা, চাচার পরিবারের সদস্যসহ অর্ধ শতাধিক লোককে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য দাইয়ান মেম্বার জানান, আব্দুল করিম সর্ম্পকে আমার চাচা হোন। আমার জানা মতে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে বিছানাতে পড়ে ছিলেন। গতকাল জানলাম তিনি নাকি সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর শুনলাম আমরা নাকি তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছি এ অভিযোগ এনে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গতকাল বুধবার সকালে করিম সরকারের স্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তার পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বিকেলে আবার করিম সরকারকে স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে আসলে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সজিব রায়হান জানান, মৃত করিম সরকার গতকাল বুধবার সকালে প্রচন্ড স্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখন তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে আবার হাসপাতালে এসে জানান, রাস্তায় জ্যাম থাকার কারনে তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি। সেই জন্য আবার এখানে নিয়ে এসেছেন। আসার পরই কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন হাসপাতালে আসার আগেই রোগী মারা গেছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, করিম সরকারের মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যাই। এসময় তার দেহে কোন জখম বা আঘাতের চিহৃ ছিলনা। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় করিম সরকারের ছেলে সাদেক সরকার একটি হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।